Post by Admin on Mar 22, 2014 1:55:51 GMT 6
বর্তমানে যারা প্রযুক্তি প্রেমী আছেন তারা প্রায় সকলেই কোন না কোনভাবে এন্ড্রয়েডের নাম শুনেছেন। আবার এমন বহুজন আছেন যারা শুধু এন্ড্রয়েডের নাম শুধু শোনেননি বরং নিজের একটি ডিভাইস কিনেছেন এবং তা ব্যবহার করছেন। আবার এমন কিছু সংখ্যক লোক আছেন যারা এটা শুধু কিনে ফোন করা বা সাধারন ফোনের কর্মকান্ডে এটিকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, তারা আরো এগিয়ে গিয়েছেন ফোনটিকে গবেষনার বিষয়বস্তু বানিয়েছেন। হ্যাঁ, আমি তাদের কথাই বলছি যারা এন্ড্রয়েড ডিভাইসকে নিয়ে শুধু গেম খেলা এবং সিনেমা দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। বরঞ্চ, রুট করেছেন একটা রিকভারি দিয়েছেন কিছু কাষ্টম রম ইন্সটল করেছেন এবং আরামসে বরং বলা ভাল দুমছে্ এন্ড্রয়েডের পুরো মজা নিচ্ছেন।যারা এন্ড্রয়েড জগতে নতুন তারা প্রায়ই রিকভারি কথাটা শুনে থাকবেন। এবং এটাও জেনে থাকবেন যে রিকভারি বেশ ভারি ব্যাপার স্যাপার। এটা কি সেটা না জেনেও আপনি ইতিমধ্যে আন্দাজ করতে হয়ত পেরেছেন যে রিকভারি কোন যেন তেন ব্যাপার নয়। এবার কাজের কথায় নামি...
তো, রিকভারি সেটা আবার কি?......
রিকভারির ব্যাপারটা আসলে বেশ পুরনো বা রিকভারি যে কাজটা আসলে করে তা অনেক পুরনো একটা ধারনা। আমরা প্রায়ই এই কাজ করে থাকি। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই কাজ বা ধারনাটার ব্যবহার এত বেশি যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কিছু উদাহরন দেয়া যাক:
১. ধরুন, অফিসের জুতার কথা। আমরা সব সময়ই দুটো জোড়া কিনে রাখি। কেউ কেউ তারও বেশি। এক জোড়া ছিড়ে গেলে বা ব্যবহার অনুপযোগী হলে অন্য জোড়া ব্যবহার শুরু করি।
২. পিসিতে হার্ডও্যার ফেইলিউর বা ভাইরাস সংক্রমন হলে যেমন রেসকিউ ডিস্ক বা ফ্লপি ডিস্ক দিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাই বা অসুবিধার অংশটুকু মুছে দেই তার কথাই ধরুন।
৩. ধরুন, গাড়ির টায়ারের কথা। গাড়ির একটা বা দুটো স্পেয়ার বা বাড়তি টায়ার আমরা সব সময় গাড়িতেই রাখি। সাবধানতার কথা বলা যায় না তাই তো।
৪. পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে আমরা বাড়তি কলম পেন্সিল ইত্যাদি নিয়ে যাই। দরকারের সময় যাতে হাতের কাছেই পাওয়া যায়।
৫. পরিবারের বাজেট করার সময় বা ভ্রমনের সময় হাতে কিছু বাড়তি টাকা রাখি।
৬. সম্প্রতি জিপি, বাংলালিংক সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একটি সুবিধা চালু করেছে যে, ব্যালান্স শেষ হলেও ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কথা সারা যায় বা কল করা যায়
এরকম হাজারো রকম কাজে বা কাজের পেছনের ধারনায় "রিকভারি" জিনিসটা রয়েছে। আমি যে উদাহরন গুলো দিলাম সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষন করলে আপনি হয়ত এটা বলতে পারেন যে, "রিকভারি"র সাথে এগুলো পুরোপুরি যায় না বা এগুলো রিকভারি কে রিপ্রেজেন্ট করে না। কিন্তু আপনি একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন এসবগুলোর পেছনে যে ধারনাটা রয়েছে সেটা হল অসুবিধায় পড়লে স্বাভাবিকভাবে যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সে সুবিধাটা আদায় করা।
এন্ড্রয়েডের রিকভারিও ঠিক এই কাজটি করে থাকে। এটি আপনার ফোনের "পিছনের দরজা" হিসেবে কাজ করে। কখনো আপনার ফোনে রম বা আপডেট ইনস্টল করতে, কখনো ব্যাকআপ/রিষ্টোর করতে, কখনোবা ফরম্যাট দিতে রিকভারি প্রয়োজন পড়বে।
এটিকে স্পেশাল বুটও বলা যায় কারন সাধারনভাবে বুটে এসব সুবিধা পাওয়া যায় না। প্রত্যেকটা ফোনেই কোম্পানি থেকে "ডিফল্ট রিকভারি" আগেই দেয়া থাকে যার কাজ শুধুমাত্র ফ্যাক্টরি রিসেট করাতেই সীমাবদ্ধ।
রিকভারি কয় ধরনের হতে পারে:
রিকভারি ব্যবহারের সুবিধা:
বলা ভাল কাষ্টম রিকভারি ব্যবহারের সুবিধা
* ফোনের অফিশিয়াল রম ইন্সটল বা আপডেট ইন্সটল বা ফ্ল্যাশ করা
* কার্নেল ইন্সটল করা
* যে কোন এ্যপ, থিম, ফন্ট, টিউক (tweak) প্রভৃতি ফ্ল্যাশ করা
* আনঅফিশিয়াল রম বা কাষ্টম রম ইন্সটল
* ফ্যাক্টরি রিসেট
* শুধুমাত্র ক্যাশ মেমোরি মুছা
* শুধুমাত্র ইউজার ডাটা মুছে ফেলা
* শুধুমাত্র সিস্টেম মুছে ফেলা
* পারমিশন ফিক্স করা
* রমের ব্যকআপ নেয়া
* ব্যকআপ নেয়া রমকে আবার রিষ্টোর করা
* ইউজার ডাটা, ক্যাশ মেমোরি বা সিস্টেম আলাদা আলাদা রিষ্টোর করা
* ডেলভিক ক্যাশ মুছে ফেলা
* মেমোরি কার্ড বা এসডি কার্ড পার্টিশন করা
* ব্যটারি স্টাট্যাস মুছে ফেলা
রিকভারিতে কিভাবে প্রবেশ করবেন:
রিকভারিতে প্রবেশ করতে হলে নিদির্ষ্ট কিছু কি (key) একসাথে চেপে ধরতে হয়। এখন কোন কোন কি (key) চেপে ধরবেন তা আপনাকে জেনে নিতে হবে। কারন সবার ফোনে একই রকম কি(key) কাজ করে না। সব ফোনেরই ভিন্ন ভিন্ন কি(key) রয়েছে। উদাহরণ সরূপ ভলিউম আপ কি বা বাটন + ভলিউম ডাউন বাটন + পাওয়ার বাটন একসাথে চেপে ধরলে রিকভারিতে প্রবেশ করবে।
তো, রিকভারি সেটা আবার কি?......
রিকভারির ব্যাপারটা আসলে বেশ পুরনো বা রিকভারি যে কাজটা আসলে করে তা অনেক পুরনো একটা ধারনা। আমরা প্রায়ই এই কাজ করে থাকি। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই কাজ বা ধারনাটার ব্যবহার এত বেশি যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কিছু উদাহরন দেয়া যাক:
১. ধরুন, অফিসের জুতার কথা। আমরা সব সময়ই দুটো জোড়া কিনে রাখি। কেউ কেউ তারও বেশি। এক জোড়া ছিড়ে গেলে বা ব্যবহার অনুপযোগী হলে অন্য জোড়া ব্যবহার শুরু করি।
২. পিসিতে হার্ডও্যার ফেইলিউর বা ভাইরাস সংক্রমন হলে যেমন রেসকিউ ডিস্ক বা ফ্লপি ডিস্ক দিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাই বা অসুবিধার অংশটুকু মুছে দেই তার কথাই ধরুন।
৩. ধরুন, গাড়ির টায়ারের কথা। গাড়ির একটা বা দুটো স্পেয়ার বা বাড়তি টায়ার আমরা সব সময় গাড়িতেই রাখি। সাবধানতার কথা বলা যায় না তাই তো।
৪. পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে আমরা বাড়তি কলম পেন্সিল ইত্যাদি নিয়ে যাই। দরকারের সময় যাতে হাতের কাছেই পাওয়া যায়।
৫. পরিবারের বাজেট করার সময় বা ভ্রমনের সময় হাতে কিছু বাড়তি টাকা রাখি।
৬. সম্প্রতি জিপি, বাংলালিংক সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একটি সুবিধা চালু করেছে যে, ব্যালান্স শেষ হলেও ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কথা সারা যায় বা কল করা যায়
এরকম হাজারো রকম কাজে বা কাজের পেছনের ধারনায় "রিকভারি" জিনিসটা রয়েছে। আমি যে উদাহরন গুলো দিলাম সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষন করলে আপনি হয়ত এটা বলতে পারেন যে, "রিকভারি"র সাথে এগুলো পুরোপুরি যায় না বা এগুলো রিকভারি কে রিপ্রেজেন্ট করে না। কিন্তু আপনি একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন এসবগুলোর পেছনে যে ধারনাটা রয়েছে সেটা হল অসুবিধায় পড়লে স্বাভাবিকভাবে যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সে সুবিধাটা আদায় করা।
এন্ড্রয়েডের রিকভারিও ঠিক এই কাজটি করে থাকে। এটি আপনার ফোনের "পিছনের দরজা" হিসেবে কাজ করে। কখনো আপনার ফোনে রম বা আপডেট ইনস্টল করতে, কখনো ব্যাকআপ/রিষ্টোর করতে, কখনোবা ফরম্যাট দিতে রিকভারি প্রয়োজন পড়বে।
এটিকে স্পেশাল বুটও বলা যায় কারন সাধারনভাবে বুটে এসব সুবিধা পাওয়া যায় না। প্রত্যেকটা ফোনেই কোম্পানি থেকে "ডিফল্ট রিকভারি" আগেই দেয়া থাকে যার কাজ শুধুমাত্র ফ্যাক্টরি রিসেট করাতেই সীমাবদ্ধ।
রিকভারি কয় ধরনের হতে পারে:
রিকভারি ব্যবহারের সুবিধা:
বলা ভাল কাষ্টম রিকভারি ব্যবহারের সুবিধা
* ফোনের অফিশিয়াল রম ইন্সটল বা আপডেট ইন্সটল বা ফ্ল্যাশ করা
* কার্নেল ইন্সটল করা
* যে কোন এ্যপ, থিম, ফন্ট, টিউক (tweak) প্রভৃতি ফ্ল্যাশ করা
* আনঅফিশিয়াল রম বা কাষ্টম রম ইন্সটল
* ফ্যাক্টরি রিসেট
* শুধুমাত্র ক্যাশ মেমোরি মুছা
* শুধুমাত্র ইউজার ডাটা মুছে ফেলা
* শুধুমাত্র সিস্টেম মুছে ফেলা
* পারমিশন ফিক্স করা
* রমের ব্যকআপ নেয়া
* ব্যকআপ নেয়া রমকে আবার রিষ্টোর করা
* ইউজার ডাটা, ক্যাশ মেমোরি বা সিস্টেম আলাদা আলাদা রিষ্টোর করা
* ডেলভিক ক্যাশ মুছে ফেলা
* মেমোরি কার্ড বা এসডি কার্ড পার্টিশন করা
* ব্যটারি স্টাট্যাস মুছে ফেলা
রিকভারিতে কিভাবে প্রবেশ করবেন:
রিকভারিতে প্রবেশ করতে হলে নিদির্ষ্ট কিছু কি (key) একসাথে চেপে ধরতে হয়। এখন কোন কোন কি (key) চেপে ধরবেন তা আপনাকে জেনে নিতে হবে। কারন সবার ফোনে একই রকম কি(key) কাজ করে না। সব ফোনেরই ভিন্ন ভিন্ন কি(key) রয়েছে। উদাহরণ সরূপ ভলিউম আপ কি বা বাটন + ভলিউম ডাউন বাটন + পাওয়ার বাটন একসাথে চেপে ধরলে রিকভারিতে প্রবেশ করবে।