Post by Admin on Mar 25, 2014 18:23:19 GMT 6
"রুট" শব্দটির সাথে এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশী পরিচিত। এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেছেন কিন্তু রুট শব্দটি শোনেননি এমন মানুষ খুব কম। আর যারা একটু ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করতে পছন্দ করেন তারা এটা ইতিমধ্যে জেনে নিয়েছেন বা দু একটা ফোন রুটও করেছেন। রুট কি করলে কি হয় কি হয় না এগুলো জানার জন্য পড়তে থাকুন।
রুট কি?
অবস্থা ১ : যারা উইন্ডোজ পিসিতে গেষ্ট একাউন্ট বা সাধারন একাউন্ট ব্যবহার করছেন (এডমিনিষ্ট্রেটর একাউন্ট ব্যতিত) তারা নিশ্চয় দেখতে পেয়েছেন যে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে গেলে বা আনইন্সটল করতে গেলে অথবা অন্য একাউন্টের ডকুমেন্টসে প্রবেশ করতে চাইলে পাসওয়ার্ড চায়/ প্রবেশে বাধা দেয়/ মেসেজ দেয় যে একাউন্টসে প্রবেশে প্রিভিলেজ আপনার নেই।
অবস্থা ২ : বর্তমানে সাইবার/ইন্টারনেট ক্যাফে খুব জনপ্রিয়। প্রায় সময় দেখা যায় এগুলোতে দুটি একাউন্ট থাকে একটা এডমিনিষ্ট্রেটর অন্যটি সাধারন ইউজার। সফটওয়্যার ইন্সটল/ আনইন্সটল করতে গেলে "Error" বা "administrator" পাসওয়ার্ড চায়।
অবস্থা ৩ : আপনার এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে আগে থেকেই কিছু এ্যপ্লিকেশন থাকে। ধরুন, তার কোনটি আপনার ভাল লাগেনা/ সেটা আপনার ব্যটারি খরচ করছে অযথা। আপনি চান সেটা ডিলিট করে ফেলতে। কিন্তু কোনভাবেই "আনইন্সটল" করার অপশন খুজে পাচ্ছেন না।
অবস্থা ৪ : আপনার ফোনের সম্পূর্ণ ব্যকআপ নিতে চান। সাধারণ অবস্থায় শুধু ইউজার এ্যপ বা আপনি যা ডাউনলোড করেছেন তারই ব্যকআপ নিতে পারবেন। কিন্তু সিস্টেমের এ্যপ+ডাটা ব্যকআপ নিতে চান তখন কিভাবে সেটা সম্ভব হবে?
উপরোক্ত ঘটনাগুলোয় আপনার যা দরকার তা হল "বিশেষ ক্ষমতা"/ "বিশেষ পারমিশন" যা সাধারণত পিসিতে এডমিনরা পেয়ে থাকেন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ক্ষমতা হল "রুট"। তো রুট হল এমন ক্ষমতা যা আপনাকে সিস্টেমের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা প্রদান করে। যা সাধারন অবস্থায় থাকে না।
অসাধারন অবস্থায় আপনাকে সেটি নিজে করে নিতে হয়। এখন কথা হল, এটি কেন কেনার সময় ফোনের সাথে দেয়া থাকে না। ভেবে দেখুন, একজন ব্যবহারকারী যে "রুট" দিয়ে কি করতে হয়, না হয় তা ভালভাবে জানেন না। না জেনেই তিনি যদি সিস্টেমের কোন ফাইল ডিলিট করে ফেলেন তবে কি হবে? স্মার্টফোন কোম্পানীগুলো বেশ স্মার্ট তাই এই সুবিধা ফোনের সাথে দেয়া হয় না। আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তা করে নিতে হয়।
রুটকে আবার অনেকে "সুপারইউজার" এ্যপ দিয়ে চিনে থাকেন। সুপারইউজার এ্যপটি আসলে দেয়া হয় এডমিনিষ্ট্রেটরের যে ক্ষমতা বা পারমিশন তা যেন আরো ভালভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়। ধরুন, আপনার ফোন রুট করা হয়েছে কিন্তু কোন সুপারইউজার এ্যপ দেয়া হয় নি। তাহলে কি হবে? রুট ক্ষমতা/এডমিনিষ্ট্রেটর পারমিশন যখন অন্য কোন এ্যপ ব্যবহার করতে চায় তখন যে মেসেজটি আসে তা তখন আর আসবে না। ফলে অবস্থাটা দাড়াবে একেবারে আম্পায়ার বিহিন ক্রিকেট খোলার মত।
তাহলে রুট ছাড়া আমরা সবাই আসলে স্মার্টফোন ব্যবহার করি "গেষ্ট" ইউজারের মত। রুট আমাদেরকে "এডমিনিষ্ট্রেটর" ইউজার বানিয়ে দেয়। আইফোন যারা ব্যবহার করেছেন তারা জেইলব্রেকিং কথাটা শুনেছেন। রুট ও জেইলব্রেকিং একই জিনিস।
রুটের অসুবিধা
রুটের সুবিধা জানার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে জিনিস জানা প্রয়োজন তা হল রুটের অসুবিধা। কারণ, রুট করার পর আপনি এমন কিছু করতে পারেন যা আপনার ফোনের স্বাভাবিক ব্যবহার যোগ্যতাকে ব্যহত করতে পারে। স্মার্টফোন আপনার এটি আপনার পয়সায় কেনা কিন্তু কৌতুহলটাও আপনার এবং কৌতুহল মেটাতে গিয়ে ভুলচুকে দ্বায়িত্বও আপনাকে নিতে হবে। তাই সাবধান!
ফোন "ব্রিক" করা: সবচেয়ে যে ব্যপারটি আপনি রুট করার পর মুখোমুখি হতে পারেন তা হল ফোন ব্রিক করা। ব্রিক করা মানে হল আপনার ফোন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়া। অন্যভাবে বলা যায় ফোনের সিস্টেম সফটওয়্যারকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ/ পরিবর্তন/ সংযোজন /বিয়োজন করা যাতে ফোনটি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা পালনে ব্যর্থ হয়। কিছু উদাহরণ: ফোন বুট না হওয়া, ফোন অন না হওয়া, ফোন চালু হলেও ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ বা ক্যামেরা বা রেডিও বা ভিডিও চালাতে ব্যর্থ হওয়া, ফোন চালু হওয়া মাত্র রিস্টার্ট নেওয়া, ঘন ঘন রিষ্টার্ট করা, দ্রুত ব্যটারি খরচ ও গরম হওয়া, ফোন চালু হলেও "ফোর্স ক্লোজ" হওয়া প্রভৃতি।
নিরাপত্তা হুমকি: সুপারইউজার বা রুট ক্ষমতা পেয়ে বিভিন্ন এ্যপগুলো সেটা কিভাবে ব্যবহার করবে। পাসোর্নাল তথ্য কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবে, বিভিন্ন ম্যালিশিয়াস সফটওয়্যার গুলো কি ক্ষতি করবে তার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার জরুরী।
রুটের সুবিধা:
কাষ্টম রম ইন্সটল করা, কাষ্টম থিম ইন্সটল, কার্ণেল ইন্সটল, ফোনের স্পিড বাড়ানো (ওভারক্লক), ব্যটারি লাইফ বাড়ানো, পার্ফরমেন্স বাড়ানো, বেসব্যান্ড আপডেট, ফোন ব্যকআপ নেয়া (সিস্টেম এ্যপ+ডাটা), ইউএসবি টিথারিং করা প্রভৃতি।
রুট কি?
অবস্থা ১ : যারা উইন্ডোজ পিসিতে গেষ্ট একাউন্ট বা সাধারন একাউন্ট ব্যবহার করছেন (এডমিনিষ্ট্রেটর একাউন্ট ব্যতিত) তারা নিশ্চয় দেখতে পেয়েছেন যে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে গেলে বা আনইন্সটল করতে গেলে অথবা অন্য একাউন্টের ডকুমেন্টসে প্রবেশ করতে চাইলে পাসওয়ার্ড চায়/ প্রবেশে বাধা দেয়/ মেসেজ দেয় যে একাউন্টসে প্রবেশে প্রিভিলেজ আপনার নেই।
অবস্থা ২ : বর্তমানে সাইবার/ইন্টারনেট ক্যাফে খুব জনপ্রিয়। প্রায় সময় দেখা যায় এগুলোতে দুটি একাউন্ট থাকে একটা এডমিনিষ্ট্রেটর অন্যটি সাধারন ইউজার। সফটওয়্যার ইন্সটল/ আনইন্সটল করতে গেলে "Error" বা "administrator" পাসওয়ার্ড চায়।
অবস্থা ৩ : আপনার এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে আগে থেকেই কিছু এ্যপ্লিকেশন থাকে। ধরুন, তার কোনটি আপনার ভাল লাগেনা/ সেটা আপনার ব্যটারি খরচ করছে অযথা। আপনি চান সেটা ডিলিট করে ফেলতে। কিন্তু কোনভাবেই "আনইন্সটল" করার অপশন খুজে পাচ্ছেন না।
অবস্থা ৪ : আপনার ফোনের সম্পূর্ণ ব্যকআপ নিতে চান। সাধারণ অবস্থায় শুধু ইউজার এ্যপ বা আপনি যা ডাউনলোড করেছেন তারই ব্যকআপ নিতে পারবেন। কিন্তু সিস্টেমের এ্যপ+ডাটা ব্যকআপ নিতে চান তখন কিভাবে সেটা সম্ভব হবে?
উপরোক্ত ঘটনাগুলোয় আপনার যা দরকার তা হল "বিশেষ ক্ষমতা"/ "বিশেষ পারমিশন" যা সাধারণত পিসিতে এডমিনরা পেয়ে থাকেন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ক্ষমতা হল "রুট"। তো রুট হল এমন ক্ষমতা যা আপনাকে সিস্টেমের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা প্রদান করে। যা সাধারন অবস্থায় থাকে না।
অসাধারন অবস্থায় আপনাকে সেটি নিজে করে নিতে হয়। এখন কথা হল, এটি কেন কেনার সময় ফোনের সাথে দেয়া থাকে না। ভেবে দেখুন, একজন ব্যবহারকারী যে "রুট" দিয়ে কি করতে হয়, না হয় তা ভালভাবে জানেন না। না জেনেই তিনি যদি সিস্টেমের কোন ফাইল ডিলিট করে ফেলেন তবে কি হবে? স্মার্টফোন কোম্পানীগুলো বেশ স্মার্ট তাই এই সুবিধা ফোনের সাথে দেয়া হয় না। আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তা করে নিতে হয়।
রুটকে আবার অনেকে "সুপারইউজার" এ্যপ দিয়ে চিনে থাকেন। সুপারইউজার এ্যপটি আসলে দেয়া হয় এডমিনিষ্ট্রেটরের যে ক্ষমতা বা পারমিশন তা যেন আরো ভালভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়। ধরুন, আপনার ফোন রুট করা হয়েছে কিন্তু কোন সুপারইউজার এ্যপ দেয়া হয় নি। তাহলে কি হবে? রুট ক্ষমতা/এডমিনিষ্ট্রেটর পারমিশন যখন অন্য কোন এ্যপ ব্যবহার করতে চায় তখন যে মেসেজটি আসে তা তখন আর আসবে না। ফলে অবস্থাটা দাড়াবে একেবারে আম্পায়ার বিহিন ক্রিকেট খোলার মত।
তাহলে রুট ছাড়া আমরা সবাই আসলে স্মার্টফোন ব্যবহার করি "গেষ্ট" ইউজারের মত। রুট আমাদেরকে "এডমিনিষ্ট্রেটর" ইউজার বানিয়ে দেয়। আইফোন যারা ব্যবহার করেছেন তারা জেইলব্রেকিং কথাটা শুনেছেন। রুট ও জেইলব্রেকিং একই জিনিস।
রুটের অসুবিধা
রুটের সুবিধা জানার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে জিনিস জানা প্রয়োজন তা হল রুটের অসুবিধা। কারণ, রুট করার পর আপনি এমন কিছু করতে পারেন যা আপনার ফোনের স্বাভাবিক ব্যবহার যোগ্যতাকে ব্যহত করতে পারে। স্মার্টফোন আপনার এটি আপনার পয়সায় কেনা কিন্তু কৌতুহলটাও আপনার এবং কৌতুহল মেটাতে গিয়ে ভুলচুকে দ্বায়িত্বও আপনাকে নিতে হবে। তাই সাবধান!
ফোন "ব্রিক" করা: সবচেয়ে যে ব্যপারটি আপনি রুট করার পর মুখোমুখি হতে পারেন তা হল ফোন ব্রিক করা। ব্রিক করা মানে হল আপনার ফোন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়া। অন্যভাবে বলা যায় ফোনের সিস্টেম সফটওয়্যারকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ/ পরিবর্তন/ সংযোজন /বিয়োজন করা যাতে ফোনটি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা পালনে ব্যর্থ হয়। কিছু উদাহরণ: ফোন বুট না হওয়া, ফোন অন না হওয়া, ফোন চালু হলেও ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ বা ক্যামেরা বা রেডিও বা ভিডিও চালাতে ব্যর্থ হওয়া, ফোন চালু হওয়া মাত্র রিস্টার্ট নেওয়া, ঘন ঘন রিষ্টার্ট করা, দ্রুত ব্যটারি খরচ ও গরম হওয়া, ফোন চালু হলেও "ফোর্স ক্লোজ" হওয়া প্রভৃতি।
নিরাপত্তা হুমকি: সুপারইউজার বা রুট ক্ষমতা পেয়ে বিভিন্ন এ্যপগুলো সেটা কিভাবে ব্যবহার করবে। পাসোর্নাল তথ্য কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবে, বিভিন্ন ম্যালিশিয়াস সফটওয়্যার গুলো কি ক্ষতি করবে তার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার জরুরী।
রুটের সুবিধা:
কাষ্টম রম ইন্সটল করা, কাষ্টম থিম ইন্সটল, কার্ণেল ইন্সটল, ফোনের স্পিড বাড়ানো (ওভারক্লক), ব্যটারি লাইফ বাড়ানো, পার্ফরমেন্স বাড়ানো, বেসব্যান্ড আপডেট, ফোন ব্যকআপ নেয়া (সিস্টেম এ্যপ+ডাটা), ইউএসবি টিথারিং করা প্রভৃতি।